অসমীয়া সাহিত্যৰ চানেকি।

  সুর্য্য খড়ি দৈবজ্ঞ।

[এই লিখক জনৰ জন্মভূমি মঙ্গলদৈ আছিল। তেওঁ ইংবাজী ১৮ শতিকাৰ শেহ ভাগত জন্মগ্রহণ কৰিছিল। তেওঁ সেই কালৰ এজন বিখ্যাত পণ্ডিত আছিল। তেওঁ অসমীয়া ভাষাত দৰঙ্গবাজবংশাৱলী আৰু সংস্কৃত ভাষাত বিখ্যাত বাজমার্তণ্ড নামে জ্যোতীযাযা গ্রন্থৰ এখন পাণ্ডিত্যপূর্ণ টাকা লিখিছিল। দবঙ্গ প্রদেশৰ বগা সমুদ্রনারাযণব আদেশত তেওঁ দৰঙ্গবাজ বংশাবুলী নামেবে নানা বন্দর চিয়েবে বঞ্জিত পুথিখন লিখে। যদিও তেওঁ দবঙ্গ বড়াব দেশৰ লোকহে আছিল, তথাপি তেওঁৰ পাণ্ডিত্যৰ সন্মানৰ অর্থে অসম ৰঙ্গায়ো তেওক নিষ্কৰ মাটি দান কৰিছিল। সেই মাটি দান কথা তামৰ ফলি এতিযাও তেওঁৰ বংশব শ্রীযুত গুণাৰাম দৈবজ্ঞৰ হাতত আছে। এই তামৰ ফলিৰ তাবিগ হৈছে ১৭২০ শক অর্থাং ১৭৯৮ ইং চন।]

দবঙ্গবাজবংশাৱলী।

আত অনন্তৰে কথা শুনা মহামতি। বিশ্বসিংহ নাম যিতো প্রধান নৃপতি। মহাদানী মানী সর্নব ধৰ্ম্মত পার্গত। অম্ভাৱতী পুৰে পুৰন্দৰ যেন মত ॥১৪৭॥                                                                                                            অসমীয়া সাহিত্যৰ চানেকি।

তাৰ সম কোন আছে ভকত বৎসল। একছত্রে পালিলন্ত ধৰণী মণ্ডল ॥ আগে নানা পৰাক্ৰম কৰিলা যতেক। সংক্ষেপ পৱাৰে তাক কহিবো কতেক ।।

একদিন সভা মধ্যে কৰি আলোচন। মন্ত্রীক সম্বুদ্ধি বাজা বুলিলা বচন ॥ মাঙ্গল্য বজ্রত দ্রব্য আনা শীঘ্র কবি। যুববাজ শিশুক পাতিবো আজি ধৰি ।

নৃপতিব শুনি হেন প্রচণ্ড বচন। আনিলা সকলে দ্রব্য যত ভৃত্যগণ। সমস্ত তীৰ্থৰ জল কৰি এক ঠাই। ব্রাহ্মণ দৈবজ্ঞগণ অনাইলা মতাই ॥১

বিজয় মূহুর্ত্ত ক্ষণ তেসম্বে কহিলা। সেই বেলা যুবৰাজ শিশুক পাতিলা । শঙ্খ ঘণ্টা ঢাক ঢোল শিঙ্গা কালি ভেৰী। জয়কালি ৰামবেনা বজারে মহবি ॥

খোল কৰতাল বাৱে নাগাৰা মৃদঙ্গ। দোতোৰা সাৰিণ্ডা বাঁশী ববাব উপাঙ্গ । ৰামতাল বামবীণা বাজে বৰকাঙ্খ। সপ্তম্বৰা হলন্দাৰ বজারে অসংখ্য

আনো অসংখ্যাত বান্ধ্য অনেক বাজয়। সংক্ষেপে কহিলোঁ পদ বাহুল্যক ভয় ॥ সেহি সময়ত সৈন্য আছিলা যতেক। তাৰ সংখ্যা কৰি কোনে কহিব প্রত্যেক ।                                                                                            গারে গারে সমস্তবে সন্তোষিলা মন। যাক যথোচিত বত্ব ধন দিলা দান । দুখী ভিখী দেশান্তরী যতেক আছিলা। অদৰিদ্ৰ কৰি সমস্তকে দান দিলা।

পণ্ডিত ব্রাহ্মণগণ দৈবজ্ঞ যতেক। সমস্তকে গারে গারে তুষিলা প্রত্যেক ॥ ৰাজ্যক পুষিলা অন্ন জল কবি দান। নাহিকয় যুববাজ তাহান সমান।

সম দম ভেদ দায়া অস্ত্র শাস্ত্র যত। শৌচাচাৰ গীত বাস্থ্য সবাতে পাগত। সুন্দৰ শৰীৰ ধীৰ গম্ভীৰ স্বভাৱ। দেব দ্বিজ সাধু ভক্ত পূজে সর্বভার

নাহি লোভ মোহ উপবাসে সদা মন। দুষ্টক দণ্ডয় বৈব কবে সংহাৰণ ॥ সত্যবাদী জিতেন্দ্রিয় জানে কাল দেশ। পৰ উপকাৰে মতি ধৰ্ম্মাত্মা বিশেষ ।

মন্ত্রীবাক্য সদা নেবে সবাতে বিনয়। বল বীৰ্য্য পৰাক্ৰম বুদ্ধি আতিশয় । আনো নানা গুণগণ যতেক আছয়। সংক্ষেপে কহিলো কৰি বাহুল্যক ভয়।

যুবৰাজ চৰিত্ৰক এহি মানে থওঁ। তাত পাচে যি কৰিলা তাক কিছু কওঁ ॥ যুবৰাজ পাতি পাচে শিৱৰ নন্দন। কাহাক পাতিবো মন্ত্রী গুণে মনে মন।                                                                                                              ভালবেসে ভাল হয় হীন বংশে হীন। ধনী বংশে ধনী হয় দুঃখা বংশে দীন। চোৰ বংশে চোৰ হয় সন্ত বংশে সন্ত। শ্রেষ্ঠ বংশে মন্ত্রী সর্বব শাস্ত্রত কহন্ত ॥১৬০।

অসন্ত বস্তুৰ কৈতো নাহিকে প্রকাশ। সন্ত বস্তু হৈলে কদাচিতো নাই নাশ । এহি মনে গুণি সাৰ কবিয়া মনত। দূতক সম্বৃদ্ধি বাক্য বোলে সমাজত ॥

শ্রেষ্ঠ বংশে জন্ম যিতো মেচ বাব ঘৰ। মোহোৰ আদেশে তাঙ্ক আনিও সত্বব । এহি বুলি শীয়ে দূত পাঞ্চিয়া দিলন্ত। বাৰয় ঘৰৰ বাৰ গোটা অনাইলন্ত ॥

পানবৰ বৰিহনা ফেদফেদো বাই। ভেদেলা যে গুৱাবৰ বৈহাগু জগাই ॥ নামত কাঠিয়া মেঘা গড়কাটা বীৰ। ডোখোৰা যে যুদ্ধাবৰ বুদ্ধিমন্ত ধীৰ ॥

এহি বাৰ জন আনি শুভক্ষণ চাই। সবাকে পাতিলা কাৰ্জ্জি আজ্ঞাক শুনাই ।। বৰিহন। বৈহাগু দুতয় বুদ্ধিমন্ত। মন্ত্রী কাৰ্যে তাৰা দুইকো 'আদেশ দিলস্ত॥

বৰিহনা চৰিত্ৰ শুনিয়ো যেন হয়। বুদ্ধিৰ সাগৰ কাল দেশক জানয়। সন্ধি বিগ্রহক জানে শাস্ত্রত পণ্ডিত। সাৰথিৰ কৰ্ম্ম বুজে ৰাজাৰ ইঙ্গিত।                                                                                                                   নৃপতিক চিন্তে জিতেন্দ্রিয় গুণরন্ত। যুদ্ধত নিপুণ সব ধর্ম্মক জানন্ত। দুষ্টৰ সম্বন্ধি যেন অন্তক সমান। অপ্রমত্ত দয়ারন্ত বুদ্ধিত সুজন।

আত অনন্তবে বৈহাগুৰ স্নে নয়। সংক্ষেপ কবিয়া কতো জানিবা নিশ্চয়। লোভ মোহ খল দম্ভ ক্রোধ বিবর্জ্জিত। পৰম মন্ত্রজ্ঞ ধন পুত্ৰ প্রতিষ্ঠিত।

ধম্মশাস্ত্র জানে শৌচাচাবে সদা মন। মিত্রলাভ আদি মন্ত্রণাত শ্রেষ্ঠ জন। উত্তম মধ্যম প্রাকৃতব যেন নয়। দৃষ্টি মাত্রে সমস্তবে চিত্তক বুজয় ॥

দেরত পিতৃত ভক্ত সর্বর গুণান্বিত। দুষ্টক দণ্ডিত মন সন্তক পালিত ॥ এহি দুই মন্ত্রী তান জগততে সাব। শুনিয়োক সেনাপতি যেহেন ৰাজাৰ ।

যুদ্ধাবৰ নাম তান জগতে বিদিত। মহা বুদ্ধিমন্ত সর্বব শাস্ত্রত পণ্ডিত ।। ঐশ্বয্য যুগুত জিতেন্দ্রিয় অপ্রমত্ত। ধনুর্বেবদ জানে দৃত্তিশিক্ষাত পাৰ্গত ॥১৭০

দিনে ৰাত্রি নৃপতিক চিন্তিয়া থাকয়। ত্যাগত কুশল সুন্দবত শুচি নয় ॥ অশ্বশিক্ষা বিশাবদ লোকহিতকাৰী। যুদ্ধাযুদ্ধ সন্ধি বিগ্রহৰ অধিকাৰী ॥                                                                                                                   নাহি বাগ দ্বেষ শুদ্ধচিত্ত সত্যবাদী। নিতান্তে পূজয় দেৱদ্বিজ ভক্ত আদি ॥ পৰম কৃতজ্ঞ দেশ কালক জানয়। মহা তত্ত্বগামী ধৰ্ম্ম কার্য্যে প্রবর্ত্তয়।

হেনয় লক্ষণযুক্ত ভৈলা সেনাপতি। বিপ্ৰৰ চৰিত্র কহো শুনিয়ো সম্প্রতি ॥ সার্বভৌম নামে ভৈলা বাজ পুৰোহিত। চাৰিবেদ চৈধ্য শাস্ত্র সবাতে পণ্ডিত।

শ্রুতি স্মৃতি বেদ বেদাঙ্গব তত্ত্ব জানে। জানয় বিশেষ চতুঃষষ্টি কলা মানে ॥ বাৰ কন্ধ ভাগৱত পুৰাণ যতেক। সপ্তকাণ্ড ৰামায়ণ ভাৰস্ত প্রত্যেক।

অঠৰয় তন্ত্র কাব্যগণ যতযত। গীত বাছ্য আদি কৰি 'সবাতে পাৰ্গত। বাঁহ কাঠ আদি কৰি আনো যত কাম। সবাকে জানয় এতে সার্বভৌম নাম ॥

ধ্যান মন্ত্রে তুষিলেক পার্বতী গোঁসানী। যেহি বোলে সেহি হোরে বাক্য নহে হানি। পৰম গহন ধৰ্ম্ম শাস্ত্রত পাৰ্গত। নৃপতিক ধৰ্ম্ম শিক্ষা দেন্ত নানামত ।

আতপৰে দৈবজ্ঞৰ শুনা যেন নয়। শ্রীধৰ যাহাৰ নাম প্রকাশ কৰয়। গ্রহ নক্ষত্ৰৰ গতি ৰাশি হোৰ্য গ্রন্থ। ভূত ভবিষ্যত বর্ত্তমানক জানন্ত।                                                                                                                            মহাশান্ত মতি ধীৰ পৰম পণ্ডিত। নৃপতিব হিত মাত্র বাঞ্ছে প্রতিনিত। নৃপে যত ধৰ্ম্ম কাৰ্য্য কৰে নিৰন্তৰ। গণিয়া কহয় তিথি নক্ষত্র বাসব।

কালচক্র গণি শুভ অশুভ যতেক। নৃপতিৰ আগে গৈয়া কহন্ত প্রত্যেক ॥ অশুভ হরয় গ্রহগণ যত যত। সমস্তকে পূজা কৰে নৃপৰ সম্মত।

আত পৰে বৈদ্যৰ চৰিত্ৰ শুনিয়োক। যাহাৰ কাৰণে সবে গুচে বোগ শোক ॥ বেদ শাস্ত্র জানে ব্যাধি চিনয় নিশেষ। মহৌষধি গুণগণ জানয় বিশেষ ॥১৮০॥

সবে ব্যাধি নষ্ট কৰে ঔষধৰ বলে। অভিচাৰ মন্ত্র যন্ত্র জানয় সকলে ॥ সাম যে অথর্ব বেদ শান্তি কৰ্ম্ম যত। ভোজনৰ হিতাহিত জানন্ত সমস্ত।

সবে গুণান্বিত সিতো পৰম প্ৰধান। যাত পৰে বৈদ্য আৰ নাহি আন পান। নৃপৰ তাম্বুলী যেন শুনা আত পৰে। শাস্ত্রত পণ্ডিত ধৰ্ম্ম জানে নিৰস্তবে ॥

পৰম নীতিজ্ঞ ধীৰ সুচাৰু বচন। প্রসিদ্ধে জানয় তাম্বলৰ গুণগণ। অহোৰাত্রে তাম্বুলক সদা যোগারয়। নৃপতিত পৰে অন্য দেৱ নজানয় ।                                                                                                                       হেনয় লক্ষণ যুক্ত তাম্বলী নৃপৰ। সুপকাৰ লক্ষণ শুনিয়ো আতপৰ। কুলীন গম্ভীব জিতেন্দ্রিয় সত্যবাদী। সন্তগুণ শাস্ত্র দৃষ্টে কৰে কৰ্ম্ম আদি।

গৌৰবৰ্ণ দেহা প্রিয় বাক্যে সদা বতি। সুকোমল নখ কেশ স্নিগ্ধ স্বচ্ছ আতি। বৈদ্য শাস্ত্র বিশাবদ দ্রব্য গুণ জানে। যথা প্রিয় বস্তু হোরে নৃপব ভোজনে।

বাত পিত্ত কফ শ্লেষ্মা যেন নলঙ্ঘয়। ভোজনৰ দ্রব্য সেভি মতে মিলারয় ॥ যি তিথিত যি ব্যঞ্জন খাইতে নিষেধন। সবাকে জানয় সুপকাৰ শুদ্ধ জন ॥

ভণ্ডাৰীৰ লক্ষণ শুনিয়ো অনন্তৰ। সমস্ত কর্ম্মতে শ্রেষ্ঠ নাতি যাৰ পৰ । দের দেরী পূজনে সদাই যাৰ চিত। শৌচাচাৰ জানে সর্বব শাস্ত্রত পণ্ডিত ॥

অলুব্ধক জিতেন্দ্রিয় ব্রতে নিষ্ঠ মন। দন্ত মোহ বিবর্জ্জিত লারন্য বচন ॥ আয় ব্যয় দুইতো সমভারে প্রৱৰ্ত্তয়। নৃপৰ ভণ্ডাৰী হেন জানিবা নিশ্চয়।

আত পৰে শুনা মজিন্দাবৰ লক্ষণ। পৰম পণ্ডিত ধৰ্ম্ম শাস্ত্রে যাৰ মন ॥ কুলীন গহীন সত্য ধৰ্ম্ম গুণান্বিত। দর্শন মাত্রকে বুজে ৰাজাৰ ইঙ্গিত।।                                                                                                                    সন্ধি বিগ্রহক মিত্রলাভ সুহৃদভেদ। মন্ত্রণা জানয় সিদ্ধান্তৰ পবিচ্ছেদ ॥ লঘুহস্ত জিতাক্ষৰ জানে শৌচাচাৰ। হেনয় লক্ষণ যুক্ত ৰাজমজিন্দাব ॥১৯০॥

নৃপব চাবব শুনা লক্ষণ যেনয়। ইঙ্গিততে বুদ্ধি মন তত্ত্বক বুজয় ॥ মহা বলরন্ত ভেশধাবী প্রিয়বাদী। সত্যতেসে প্ররত্তয় নহে অপ্রমাদী।

যি দেশত যেহি কাৰ্য্য হরে উপগত। নিশেষ জনাই গৈয়া বাজাব আগত ॥ হেনয় লক্ষণ চাব অনেক আছয়। সংক্ষেপে কহিলোঁ পদ বাহুল্যক ভয়।

দ্বাবীব লক্ষণ কতো হরে যেন মত। অহোবাত্রে নিবাস কৰয় দুৱাবত ।। পৰম ধাৰ্ম্মিক শৌচাচাৰে সদা বতি। নৃপতিব হিতক বাঞ্ছয় প্রতিনিতি।

সুখ দুখ প্রাণীৰ বুজয় নিবন্তৰ। নৃপব আগত গৈয়া কহে পূর্ববাপৰ । বিদেশব দূতগণ দ্বাবে উপস্থিত। তাৰ তত্ত্ব বুদ্ধি গৈয়া কহে নৃপতিত।

ইসবক আজ্ঞা কৰি শিৱৰ নন্দন। বিষয়া পাতিবে প্রতি কবিলন্ত মন । ধর্ম্মিষ্ঠ নীতিজ্ঞ বৃদ্ধি বলৱন্ত চাই। যুদ্ধত প্রপন্ন সংগ্রামক আগুরাই।

৯                                                                            গণনাতো গণি ভাল ভাল ভৃত্য যত। বিষয়া পাতিবে লৈলা সভাষ মধ্যত। বিংশতি পাইকৰ অধিকাৰী ঠাকুৰীয়া। শতেকৰ অধিপতি পাতি শইকীয়া

সহস্রব অধীকাৰি পাতিলা হাজাৰী। উম্বাও তিনি হাজাৰৰ অধিকাৰী ॥ বাইশ উম্বাষ পতি নবাব পাতিলা। এহিমতে ভাগে ভাগে আদেশ কবিলা।

বৃদ্ধ বালকক এৰি যুবত যতেক। ভাগে ভাগে গণি গণি বুজিলা প্রত্যেক । বারন্ন যে লক্ষ স্যৈ পঞ্চিশ হাজাৰ। সমূহে লেখিলে সৈন্য অসংখ্য অপাব।

হস্তী গোঁড়া গর্দ্ধত মহিষ উট যত। অসংখ্য আছয় তাৰ লেখা কৈৰোঁ কত। এহি মতে সৈম্যগণ কৰি মিরন্ধন। অসমক মাৰিবাক কৰিলন্ত মন ।

শুনা মন্ত্রীসব মোৰ আদেশক ধর্ষ।। গজ বাজি সৈন্য সব শীঘ্ৰে সাজ কৰা। নৃপতিৰ শুনি হেন প্রচণ্ড বচন। অস্ত্রে শস্ত্রে সৈন্যসব সাজিলা তেখন ॥২০০॥

৯                                                                                                                                              
   গণনাতো গণি ভাল ভাল ভৃত্য যত। বিষয়া পাতিবে
   লৈলা সভাষ মধ্যত। বিংশতি পাইকৰ অধিকাৰী ঠাকুৰীয়া। শতেকৰ অধিপতি পাতি শইকীয়া                                     অধৰ্ম্মত মতি নাই ধৰ্ম্ম ব্যতিৰেকে। ৰাজ্য লুটিবাক প্রতি বাধা কৰিলেকে। আপোনাৰ খৰচ আনিছে যত যত। তাকেসে ভুঞ্জোক সবে মোহোৰ সম্মত।

এহি বুলি চলি যান্ত শিৱব কুমৰ। ত্রিদশ সহিতে যেন দেৱ পুৰন্দৰ॥ অসংখ্য কটক সৈন্য লেখা জোখা নাই। সৈন্যৰ হিঙ্গনি পান্থ ধূলি উৰি যাই।

কতো দিন যান্তে পাইলা গাওঁৰ সমুখ। ধুকাইল খৰচ ভৈল সমস্তৰে দুখ । মনে মনে গুণে পাচে শিৱৰ তনয়। ৰাজ্য লুটিবাক দিলে অধৰ্ম্ম হরয়।

নেদিলেও মৰে দেখো মোৰ সৈন্যগণ। মন্ত্রীক সম্বন্ধি ৰাজা বুলিলা বচন। শুনা মন্ত্রীসব মোব বিশেষ উপাই। ধৰ্ম্ম বিনে মোৰ অধৰ্ম্মত মতি নাই।

নকৰোহো ৰণ ফিৰি বেহাৰক যাওঁ। অধিক খৰচ আনি লেঢ়াই লগাওঁ ॥ অসমক মাৰিয়া কৰিবো বুন্দামাৰ। শুণি মন্ত্রীগণে প্রশংসিলা বাৰম্বাৰ।

এহি হৌক বুলি সবে পাঞ্জাত আসিলা। কান্ত নামে নগবত আনন্দে ৰহিলা। নগৰ প্রকাশে যেন কৈলাস সমান। দক্ষিণ পশ্চিম পূব দ্বাৰ তিনি খান।                                                                                                               অগ্নি কোণে দেবীগঞ্জ আছয় সাক্ষাত। নামত কমতেশ্বৰী দেবী আছে তাত। 'গন্ধে পুষ্পে ধূপে দীপে যিজনে পূজয়। মনৰ কমনা সিদ্ধি অরশ্যকে হয়।

পাষাণে ইস্টকে মঠ কৰিছে নিষ্প্রাণ। দ্বিতীয় কৈলাস যেন শোভে থান খান। পাৰিষদ সমে হবি লিখিছে সাক্ষাত। হব গৌৰী নন্দী ভূঙ্গী লিখি আছে তাত।

ইন্দ্র আদি দিকপাল লিখিয়া আছয়। বাহন সহিতে সবে প্রকাশ কৰয়। মৎস্য কুৰ্ম্ম আদি কবি দশ অৱতাৰ। শ্রীকৃষ্ণক লিখিছন্ত গোপিনীবিহাৰ ॥২১০।॥

লক্ষ্মী স্ববস্বতী লিখি আছন্ত তহিত। অনন্তক লিখিছস্ত কচ্ছপে সহিত। বাসুকিক আদি কৰি অষ্ট নাগগণ। সুতলৰ বলি বাজা কৰিছে লিখন।

অপেম্বৰা লিখিছে লিখিছে পাবিজাত। বিজ্ঞ্যাধব গন্ধর্নব লিখিছে অসংখ্যাত। আদিত্যক আদি কৰি নরগ্রহগণ। গারে গারে সমস্তকে কৰিছে লিখন।

গকড়ক আদি কৰি পক্ষী সমস্তয়। ভাগে ভাগে সমস্তক লিখিয়া আছয়। মৃগন্দ্রক আদি কৰি পশুগণ যত। যাৰ যেন বর্ণ তাক লিখিছে সমস্ত ।                                                                                                          চতুঃষষ্টি যোগিনী আৱৰ ভূতগণ। প্রমথ ভৈৰৱ লিখি আছে জনে জন। জ্যোতিব প্রভারে চক্ষু মেলন নযাই। তাম্র কাংস ৰজতে শোভয় ঠাই ঠাই।

হীৰা মৰকত কতো বৈদ্য বাখবে। ফটিক কাঞ্চনে দ্বীপ্তি কবে নিবন্তবে॥ মুকুতা মুৰাৰি খোপা আবি আছে তাত। দণ্ড ছত্র চামৰ প্রকাশে অসংখ্যাত।

অগক শুবভি গন্ধে দিশ আমোদিত। পুষ্পস পিয়া ভ্ৰমৰাই কবে নৃত্য। প্রাতসবে পৰা বিপ্রগণে পূজা কবে ॥ বেদ স্তুতি চণ্ডী পাঠ পঢ়ে উচ্চস্ববে।

পূজা অবসানে বিপ্রগণে কবে জপ। সেহি বেলা উপস্থিত বিশ্বসিংহ নৃপ। কুশ হস্ত হৈয়া বসি বিষ্ণুক সুমৰি। গোঁসানীক পূজা কৰে মূল মন্ত্র স্মৰি ।

বলি দিয়া স্তুতি কৰি প্ৰণাম কৰয়। বেদ মন্ত্র পড়ি বিপ্রগণে আশীষয় । নটে ভাটে গায়নে বায়নে গারে গীত। এহি মতে গোঁসানীক সেরে প্রতিনিত।

উত্তৰে আছয় শির বাণেশ্বব নাম। যাক সেরি পারে ধর্ম্ম অর্থ মোক্ষ কাম। থানৰ মহিমা যত কহন নযাই। অদ্ভুত মহিমা উপমাৰ ঠাই নাই।

  থানে থানে আছে তাত দিব্য সৰোৱৰ। উৎপল কুমুদ পদ্ম আছে নিৰন্তৰ । থলে আছে থলপুষ্পগণ অসংখ্যাত। পদ বাহুল্যক ভয়ে নিলিখিলোঁ আত ॥২২০॥

অসংখ্যাত বিপ্ৰে পূজা কৰন্ত সদাই। তাল যন্ত্র আদি বান্ধ্য অপৰ্য্যাপ্ত বাই ॥ নটে ভাটে প্রার্থীগণে পৰি কৰে স্তুতি। সেহি সময়ত বিশ্বসিংহ নবপতি॥

ষোড়শোপচাৰে পূজা আপুনি কৰয়। ব্রহ্মমন্ত্র জপি মূলমন্ত্র উচ্চবেয়। দণ্ডৱতে পৰি স্তুতি কৰন্ত বিস্তৰ। তাহান স্তুতিত তুষ্ট হরন্ত শঙ্কৰ ।

পূজা অবসানে ব্রাহ্মণক দেন্ত দান। অতিথি লোকক গৈ কৰন্ত সম্মান ॥ সমস্তকে তুষি পাছে শুনয় পূৰাণ। হৰিৰ চৰিত শুনি কৰয় ভোজন।

শুচি আচমন হৈয়া তাম্বুল ভুঞ্জয়। শত পদ গৈয়া মধ্য চৌৰাত বহয়। সম দম দয়া ভেদ নীতি প্রৱৰ্ত্তয়। যাক যথাযোগ্য সুধি সিদ্ধান্ত কৰয় ।

কতিপয় দিনমান এহি মতে আছে। আত অনন্তৰে কথা শুনিয়োক পাচে । একদিনা কার্ত্তিক মাসত নৰপতি। মধ্যনিশা ভাগে পূজা কৰি ভগৱতী।                                                                                                                অমাৱস্তা তিথি মধ্যৰাত্ৰি সময়ত। ৰণ কৰিবাক প্রতি সঙ্কল্প মমত। মন্ত্র জপি ধ্যান কৰি চক্ষু মুদি বৈলা। নিজৰূপে মহাকালী উপস্থিত ভৈলা।

মহাকালী বোলে পুত্র শুনিয়ো বচন। বণ এড়ি বিবাহ কৰিতে কৰা মন। মোৰ বৰে অষ্টাদশ পুত্র হৈব জাত। মহাবলবন্ত সবে জগত প্রখ্যাত ॥

তঞি বণ কৰিতে লাগয় কোন গুণি। তযু পুত্রগণে সবে, জিনিব ধৰণী। মহাকালী বাক্য শুনি পাচে নবেশ্বৰ। ভকতি প্রণতি তুতি কৰিলা বিস্তব।

দণ্ডরতে পৰি নমস্কাৰ কবিলন্ত। পূজা কৰি বলিদান অসংখ্য দিলন্ত। পৰম সম্ভোষে কালী কৈলাসক গৈলা। আত অনন্তবে শুনা যেন কথা তৈলা।

একদিনা পাত্র মন্ত্রী সবাকে চপাই। আজ্ঞা কৰিলন্ত দিব্য সভা মাঝে যাই। বোলে পাত্র মন্ত্রীলোক শুনিয়ো বচন। বিচাৰি আনিয়ো কন্যা বত্রিশ লক্ষণ ॥২৩০।॥

ৰাজাৰ আদেশ সবে কৰি শিৰোগত। বিচাৰ কৰিতে গৈলা সমস্তে বাজ্যত। নেপাল দেশত ৰত্নকান্তি নামে কন্যা। পৰম সুন্দৰী তেহে ৰূপে গুণে ধন্যা।                                                                                               হেমপ্রভা পদ্মাৱতী দুই বৰনাৰী। গৌড় দেশ মধ্যে তাঙ্ক পাইলন্ত বিচাৰি । চন্দ্রকান্তি পূর্ণকান্তি হেমকান্তি বতি। কামরূপে চাবি কন্যা পাইলা মহাসতী।

কাশ্মীৰ দেশত পাইলা তিলোত্তমা নাম। পৰম সুন্দৰী সর্বগুণে অনুপাম। চন্দ্রা চন্দ্রাননা জয়া বিজয়া জয়ন্তী। কাশী দেশে পাইলা পাঞ্চ কন্যা রূপরন্তী ॥

ললিতা লারণ্যবতী নামে পদ্মমালা। শোণিতপুৰত তিনি কন্যা পাইলা ভালা ॥ শতরূপা কাঞ্চনমালিনী কন্যা দুই। দর্শন মাত্রকে মহাজনো মোহ যাই।

মিথিলাত দুই কন্যা পাইলন্ত বিচাবি। পৰম রূপসী দুই যেন বিজ্ঞাধবী ॥ বাসব সাজাইয়া আনি খৈলা ভিনে ভিনে। সমস্তকে বিহা কৰাইলন্ত একে দিনে ॥

গন্ধর্ব বিবাহে বিহা কৰাইলা সাক্ষাত। নৃত্য গীত বাচ্চ ভণ্ড বজাই অসংখ্যাত। ব্রাহ্মণ দৈবজ্ঞ সন্ত মহন্ত যতেক। দানে মানে সমস্তকে তৃষিলা প্রত্যেক ॥

দুঃখী ভিখী দেশান্তৰী ব্ৰহ্মচাৰীগণ। অদৰিদ্ৰ কৰি সমস্তকে দিলা দান ॥ বস্ত্র অলঙ্কাৰ দান দিলা ভাল মত। তাসম্বাক নেলেখিলো সংক্ষেপ পদত।                                                                                                                   ব্ৰহ্মাণ্ডৰ বিভৃতি ভৈলেক একটাই। যতেক ঐশ্বর্য্য ভৈলা লেখা জোখা নাই। নাহি দণ্ডবাদ প্রজা আনন্দে বঞ্চয়। দেশতো ভৈলন্ত লক্ষ্মী অক্ষয় অব্যয়।

অষ্টাদশ মন্দিৰ সজাইলা ভাল মতে। জনে জনে ভাৰ্য্যা সব থৈলন্ত তহিতে। পৰম আনন্দে কতিপয় দিন আছে। পুষ্পোৎসৱ বিবাহ কৰাইলা তাত পাচে॥

গর্ভাধান কৰিলন্ত সমস্তে ভার্য্যাত। পাচে দশ মাসে সমস্তবে পুত্র জাত ॥ ৰত্নকান্তি ভাৰ্য্যা হস্তে যিতো পুত্র ভৈলা। দৈবজ্ঞে গণিয়া নৰসিংহ নাম খৈলা ॥২৪০৷৷

হেমপ্রভা হস্তে যিতো পুত্র উতপন। গণিয়া দিলন্ত নাম নৰনাৰ্ব্বায়ণ। পদ্মাবতী হন্তে যিতো পুত্র উতপতি। তান নাম শুক্লধ্বজ থৈলন্ত সম্প্রতি।

চন্দ্রকান্তি পুত্র যিতো আতি সুকোমল। তাহান থৈলন্ত নাম গোহাঁই কমল ॥ পুর্ণকান্তি পুত্ৰ যিতো পৰম প্ৰধান। তাহাঙ্ক গণিয়া নাম থৈলন্ত ময়দান ॥

হেমকান্তি হস্তে যিতো পুত্র জাত ভৈলা। তুলাৰাশি হেতু ৰামচন্দ্র নাম থৈলা ॥ ৰতি হস্তে যিতো পুত্ৰ পৰম বীবিঙ্গ। কুস্ত বাশি পদে নাম খৈলা সুৰসিংহ।                                                                                                         তিলোত্তমা গর্ভ হস্তে যিতো পুত্র জাত। মানসিংহ নাম থৈলা জগতে প্রখ্যাত ॥ চন্দ্রা ভার্য্যা হন্তে বিতো পুত্র উপজিল। সিংহ ৰাশি হেতু তান মেচা নাম দিল।

চন্দ্রাননা হন্তে জন্ম ভৈলা পুত্র যিতো। গণিয়া পড়িয়া নাম পৈলা বৃষকেতু। জয়া ভাৰ্য্যা হন্তে যিতো পুত্র উতপন। তাহান খৈলন্ত নাম বাম নাৰায়ণ ॥

বিজয়া ভাৰ্য্যাৰ গর্ভে যি পুত্র ভৈলন্ত। পণ্ডিত সকলে নাম অনন্ত থৈলন্ত ॥ জয়ন্তী মহিষী হন্তে ভৈলা যিতো সুত। দীপসিংহ তান নাম খৈলন্ত প্রস্তুত ॥

ললিতা বনিতা হস্তে যিজন কুমব। দৈবজ্ঞ সকলে নাম'থৈলা হেমধৰ। লাৱণ্যবতীৰ গর্ভে যি পুত্র শোভন। তাহান থৈলন্ত নাম মেঘ নাৰায়ণ ॥

পদ্মমালা হস্তে যিতো তনয় বেকত। গণিয়া তাহান নাম থৈলন্ত জগত। শতরূপা হন্তে পুত্র যিজন জন্মিলা। মঙ্গল পূর্ববকে রূপচাঁদ নাম দিলা ॥

কাঞ্চনমালিনী গর্ভে যিতো পুত্র ভৈল। মঙ্গল কৰিয়া তান নাম সূৰ্য্য পৈল। একদিনা বিশ্বসিংহ ৰাজা গুণে মনে। কাহাক পাতিবো ৰাজা হৈব কোন জনে।                                                                                                        এহি মতে গুণি গাস্থি আছা নৃপবৰ ৮ সেহি দিনা আসি দেখা দিলন্ত শঙ্কৰ । শঙ্কৰ বদতি পুত্ৰ নকৰিবি ভয়। যিজন হৈবন্ত ৰাজা দেখিয়ো প্রত্যয় ॥২৫০॥

অষ্টাদশ দ্রব্য আনি কৰি এক স্থান। ভিনে ভিনে টোপোলা বান্ধিবা বিদ্যমান। মৃত্তিকাৰ টোপোলাক যিজনে নিরয়। সেহি জনে ৰাজা। হৈব নাহিকে সংশয় ॥

এহি বুলি সদাশির ভৈলা অন্তর্ধ্যান। বিশ্বসিংহে কবিলন্ত কথাৰ প্ৰমাণ। সোণাৰূপা তাম্র কাংস সেতু বাঙ্গ সীহা। মুকুতা পিতল মাটি যরধান লোহা ।

কপাস সবিষ মাষ অস্থি ভষ্ম কাষ্ঠ। গুপ্তভাবে টোপোলা বান্ধিলা কৰি নিষ্ঠ ॥ যজ্ঞ কৰি সভাব মধ্যত থাপিলন্ত। পুদ্র সকলক পাচে আদেশ দিলন্ত।

শুন পুণ্ড্রসব মোৰ আদেশ বচন। জনে জনে টোপোলাক আন এতিক্ষণ ॥ ৰাজাৰ বচন শুনি পাচে পুত্রগণে। টোপোলাক আনিয়া দিলন্ত জনে জনে।

স্বৰ্ণৰ টোপোলা নৰসিংহে আনিলন্ত। বিদেশত ৰাজা হৈব আজ্ঞা কবিলন্ত ॥ মল্লদেবে মৃত্তিকাৰ টোপোলা আনিলা। এস্তে ৰাজা হুইব বুলি আদেশ কৰিলা ॥                                                                                                          শুক্লধ্বজে আনিলন্ত লোহাৰ টুপলী। বোলে যুবৰাজ হৈব এহেঁ মহারলী। অস্ত্রত শস্ত্রত ইতো হৈবন্ত পার্গত। ৰণধৰ্ম্ম সমস্তকে জানিব সাম্প্রত ॥

যব ধান্য আনিলন্ত গোহাঁই কমল। বোলে শুক্লষশ হৈব সুকৃতি নিৰ্ম্মল । আলি মঠ পুষ্কৰ কৰিব থানে থান। গোহাঁই কমলক দিলা এতেক বিধান।

ৰূপৰ টোপোলা ৰামচন্দ্রে আনিলস্ত। ভণ্ডাৰৰ অধিকাৰ তাঙ্ক পাতিলন্ত ॥ সেতুৰ টোপোলা আনিলন্ত ময়দান। শিল সাকো বান্ধিবে বুলিলা থানে খান।

মেচায়ে আনিলা যিতো সীহাৰ টুপলি। বুলিলা বন্দুকী হৈগ ইতো মহাবলী ॥ ৰাঙ্গৰ টোপোলা সুৰসিংহে আনিলন্ত। সোণাৰীৰ অধিকাৰ তাঙ্ক পতিলন্ত।

পিতলৰ টোপোলা আনিলা বৃষকেতু। কমাৰ কহীৰ অৰ্পিলন্ত তান হেতু। হৰিসিংহে কাংসৰ টোপোলা আনিলন্ত। গায়ন- বায়ন যত তাহাঙ্ক দিলন্ত ॥২৬০॥

মাষৰ টোপোলা নিলে ৰামনাৰায়ণ। তাঙ্ক দিলা সত্র সভা কবি নিয়োজন। সৰিষাৰ টোপোলাক আনিলা অনন্ত। তেলী সকলৰ অধিকাৰ পাতিলন্ত ॥                                                                                          অস্থিৰ টোপোলা আনি দ্বীপসিংহে দিলা। হস্তী খোঁড়া গৰু পশু পক্ষী তাঙ্ক দিলা। তামৰ টোপোলা নিলা যিতো হেমধৰ। বোলে নীতি প্রৱৰ্ত্তাইব ব্রাহ্মণসবৰ ॥

কপাসক আনিলস্ত মেঘনাৰায়ণ। তাঙ্ক দিলা ধোবা তাঁতী যত জোলাগণ ॥ মুকুতাক আনিলা যি জন সূৰ্য্যবৰ। তাহাঙ্ক দিলন্ত যত আছে সদাগৰ ।

কাষ্ঠৰ টোপোলা গোট জগতে আনিলা। যত দেবালয়গণ তাঙ্ক সমর্পিলা॥ ভস্মৰ টোপোলা ৰূপচাঁদে আনিলন্ত। পঞ্চশস্য আদি যত তাহাঙ্ক দিলস্ত।

সন্ন্যাসী বৈৰাগী দুঃখী ভিখী দেশান্তৰী। তাসম্বাক পূজা কৰিনিহি আজি ধৰি । এহি মতে ভাগে ভাগে আজ্ঞা কৰিলন্ত। মল্ল শুরু দুইকো পঢ়িবাক পঠাইলন্ত ॥

পিতৃৰ চৰণ দুই ভাই বন্দিলন্ত। পড়িবাক লাগি বাৰাণসীক গৈলস্ত ॥ ব্রহ্মানন্দ সন্যাসীক পাইলা দৰিশন। সেহি স্থানে পড়িয়া ৰহিলা দুইজন।

সম্ভ্যাসীও দায়া কৰি দুহাঙ্কো ৰাখিলা। গুকৰ বচনে দুয়ো শাস্ত্র অভ্যাসিলা ॥ ব্যাকর্ণ পুৰাণ শ্রুতি স্মৃতি মীমাংসাৰ। শিকিলন্ত অস্ত্রশাস্ত্র অথব বেদৰ।                                                                                            সম দম দায়া ভেদ হ্যায় নীতি যত। জ্যোতিবেদ তর্কশাস্ত্র শিকে নানামত। একমনে পড়ে দুয়ো ত্যজি আন কাম। ভণে সুর্য্যখড়ি ডাকি বোলা ৰাম ৰাম ৪২৬৮